সিরাজগঞ্জে প্রচন্ড তাপপ্রবাহ ও ভ্যাপসা গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। বৈশাখের শুরুতে এ অসহ্য গরমের প্রভাব ছড়িয়ে পড়ছে। জনশূন্য হয়ে পড়েছে জেলা উপজেলা শহরসহ বিভিন্ন স্থানে। মাঠে কাজ করতে গিয়ে আরো এক কৃষক হিটস্ট্রোকে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় ২ বৃদ্ধসহ ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, অব্যাহত তাপপ্রবাহ ও প্রচন্ড গরমের প্রভাব বাড়ছে। বিশেষ করে বেলা বাড়ার সাথে সাথে এই গরমের প্রভাব বাড়তে থাকে। এ অসহ্য গরমে শহরাঞ্চলে রিকশাসহ বিভিন্ন ছোটখাট যানবাহন চলাচলসহ জন সমাগম কমছে। এতে শ্রমজীবী মানুষেরা চরম বিপাকে পড়েছে এবং কৃষকেরাও মাঠে নামতে হিমশিম খাচ্ছে। মঙ্গলবার সকালে উল্লাপাড়া উপজেলার সোনতলা তাড়াবাড়িয়া মাঠে ধানক্ষেতের পরিচর্যা করতে যায় জিল্লুর রহমান (৩৫)।
এ প্রচন্ড গরমে কাজ করার সময় সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জে হাসপাতালে নেয়ার পথে সে মারা যায়। এ বিষয়ে স্থানীয় মেডিকেল অফিসার ডা. সামিউল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, প্রচন্ড গরমে অসুস্থ হয়ে ওই কৃষকের মৃত্যু হয়েছে বলে শুনেছি। তবে সে হিটস্ট্রোকে মারা গেছে কিনা তা এখনও নিশ্চিত নয়। এদিকে শহরাঞ্চলের ব্যবসায়ীরা বলছেন, এ প্রচন্ড তাপপ্রবাহ ও গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। এ কারণে বিভিন্ন দোকানে ক্রেতাদের সমাগম কমে গেছে। এতে বেচাকেনা না হওয়ায় অনেক দোকানি হতাশায়।
এছাড়া প্রচন্ড গরমে ফুটপাতেও দোকান ব্যবসা করা যাচ্ছে না। তাপ প্রবাহ ও গরমের প্রভাব শুরু থেকে ডাব, বেল, আইসক্রীম, ঘোল, শরবত, দই, ঠান্ডা জাতীয় বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রীর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এ গরমে শিশুসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষের জ্বর, ঠান্ডা, কাশি ও পানি বাহিত রোগীর প্রভাব বাড়ছে এবং লোডশেডিংয়ের কারণে অসহ্য গরমে বিশেষ করে শিশুদের দিনে ও রাতে শোনা যায় কান্না। এছাড়া মঙ্গলবার সকালে সিরাজগঞ্জের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানানো হয়েছে।